
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনা এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ফলে ভারতে সীমান্তঘেঁষা বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজনে। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের নির্ধারিত ভেন্যু ধর্মশালার পরিবর্তে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মুম্বাইয়ে।
আগামী ১১ মে ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি। তবে ধর্মশালা বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মুম্বাইয়ে। ভারতের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, ৯ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার আরেকটি ম্যাচও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এবং সেটিও স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যদিও এখনো সেই ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
চলতি আইপিএলে ধর্মশালাকে দ্বিতীয় হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করছে পাঞ্জাব কিংস। দলটি সেখানে তিনটি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। এর মধ্যে একটি ম্যাচ ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে—৪ মে, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে। তবে বর্তমানে যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, তাতে বাকি ম্যাচগুলো ধর্মশালায় আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারতের সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে একাধিক বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দরও এই তালিকায় রয়েছে। শুরুতে জানানো হয়েছে, এসব বিমানবন্দর আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ভ্রমণ পরিকল্পনাও জটিল হয়ে পড়েছে। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস দল ইতোমধ্যে ধর্মশালায় পৌঁছে গেছে ৯ মে’র ম্যাচের জন্য। তবে ধর্মশালায় সপ্তাহের শেষে পৌঁছানোর কথা থাকলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলটি সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্মশালায় না গিয়ে মুম্বাইতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে যে কোনো সময় আইপিএল কর্তৃপক্ষ এবং বিসিসিআই ভেন্যু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনই হবে একমাত্র সমাধান।
repoter