ছবি: গোলাম ফরিদা ছন্দা
জনপ্রিয় অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা সম্প্রতি কালের কন্ঠের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। বর্তমানে তার অভিনীত দুটি ধারাবাহিক দীপ্ত টিভি ও চ্যানেল আইতে প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়াও, আজ মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত নতুন ছবি ‘ভয়াল’, যেখানে তিনি ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছন্দা বলেন, ‘মাশরাফি জুনিয়র’ নাটকের ১২০০ পর্ব মাইলফলক পার করেছে, যা বাংলাদেশের নাটক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। চার বছর ধরে প্রচারিত এই নাটকে তার চরিত্র রুনা খান প্রথমে গৃহিণী থেকে চাকরিজীবী, সাংবাদিক ও পরে উকিল হয়ে ওঠে, এবং দর্শকরা এই পরিবর্তনগুলো পছন্দ করেছে। তিনি নাট্যকার ও নির্মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা চরিত্রগুলোর জন্য সঠিক শিল্পী নির্বাচন করেছেন এবং নাটকটি দীর্ঘ সময় ধরে সফলভাবে চালিয়ে নিয়ে গেছেন।
অতীত এবং বর্তমানের ধারাবাহিক নাটকের পার্থক্য নিয়ে ছন্দা বলেন, আগে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের নাটকগুলোতে ব্যাপক বাজেট এবং অনেক খেটেখুটে কাজ করা হতো, কিন্তু বর্তমানে বাজেট কম এবং নির্মাতাদের ক্রিয়েটিভিটিও অনেক সীমাবদ্ধ। তবে, লাভলু ভাইও এখন সেই আগের মতো কাজ করতে পারছেন না, কারণ বাজেটের সমস্যা রয়েছে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, ‘ভয়াল’ ছবিটি তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ পরিচালক বিপ্লব হায়দার তাকে অন্যরকম একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দিয়েছেন। তিনি সরাসরি দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ছবিটি হলে গিয়ে দেখবেন।
গোলাম ফরিদা ছন্দার দুই মেয়ে, টুপুর ও টাপুর, নিয়মিত অভিনয় না করলেও তাদের অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা তাদের স্ক্রিপ্ট নির্বাচন করি এবং ছুটি এলেই তারা কাজ করে। আমি তাদের অভিনয়ের ভক্ত, তাদের পর্দায় পারফরম দেখে আমি অনেক তৃপ্তি পাই।"
তার ২৫ বছরের অভিনয় জীবনের সাফল্য নিয়ে ছন্দা বলেন, "প্রত্যেকের জীবনে কিছু অপ্রাপ্তি থাকে, আমিও তার বাইরে নই। চলচ্চিত্রে কাজ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে সময়ে পরিস্থিতি ছিল কিছুটা অস্থির। এখন মনে হয়, তখন যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতাম, আমার অবস্থান আরও ভালো হতে পারত। তবে, এখনও মানুষ আমাকে ‘সাকিন সারিসুরি’র বাসন্তী বৌদি নামে চেনে, যা আমার জন্য বড় অর্জন।"
এছাড়াও, তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন যে মা হওয়ার পরও কাজ কমিয়ে না, বরং আরো বেশি কাজ করেছেন। সবচেয়ে বড় তৃপ্তি হয় যখন তিনি তার মেয়েদের অভিনয় দেখে আনন্দিত হন।
repoter