ঢাকা,  রবিবার
১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ০৯:২৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল * ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে * ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উপস্থিতি * মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই: এটিইউ প্রধান * হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ * চাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও ব্যালট নম্বর প্রকাশ * মানুষের আস্থা অর্জনই বিচার বিভাগের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি * শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি * বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বৈঠক * ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮ জন

সিন্ডিকেটের প্রভাবেই অস্থির চালের বাজার, দাম বাড়ছে দিন দিন

repoter

প্রকাশিত: ০১:৩৭:০৮অপরাহ্ন , ১০ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০১:৩৭:০৮অপরাহ্ন , ১০ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চালের বাজারে বর্তমানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত কয়েক সপ্তাহে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, এবং এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম গড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এ অস্থিরতার মূল কারণ হলো মিলার, ধান-চালের মজুদদার, পাইকার এবং বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালী 'সিন্ডিকেট', যারা বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও এই সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্তমানে চালের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মধ্যবিত্তদের পছন্দের বিআর-২৮ ও পাইজাম জাতের চালের। গত শনিবার ঢাকার বাজারে এসব চালের কেজি ৫৮-৬৪ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এর পাশাপাশি মোটা ও চিকন চালের দামও বেড়েছে, যা এক মাস আগেও ছিল কম। সরকারি সংস্থা টিসিবি জানিয়েছে, গত এক মাসে সাদা চালের দাম ৪ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ৮ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ২ শতাংশ বেড়েছে।

অথচ, বাজারে চালের অভাব নেই, বরং মিলাররা সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা সঠিকভাবে কার্যকর করা হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তবে, সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্টরা তাদের দায় অস্বীকার করছেন এবং পরিস্থিতি উন্নতির আশা কম।

এছাড়াও, সরকার চালের আমদানির শুল্ক কমিয়ে দিলেও, ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বিশেষ করে, ভারত থেকে আমদানি করলে চালের দাম দেশীয় বাজারের তুলনায় বেশি পড়ছে, যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিতে চরম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানির জন্য ২ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তবে বাজারে চলমান অস্থিরতার কারণে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

repoter