ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১০:২৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য * আলোচনায় অসন্তুষ্ট কারিগরি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা * চীন থেকে অর্থ আনার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনবিআরের দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে * ঢাকার চারপাশে গড়ে উঠছে ব্লু নেটওয়ার্ক: পানি সম্পদ উপদেষ্টা * বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা * গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ালেও সরবরাহ সংকট ও চুরি কমেনি * দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা * ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে * মাত্র ৮ দিনের মাথায় জামিনে মুক্ত ‘ডন মাসুদ’, এলাকায় ফের আতঙ্কের ছায়া * প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল

কাকরাইলে আবারও উত্তেজনা, নিরাপত্তা জোরদার

repoter

প্রকাশিত: ১২:১৮:২১অপরাহ্ন , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:১৮:২১অপরাহ্ন , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কাকরাইল মসজিদে সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার। ছবি: সংগৃহীত

ছবি: কাকরাইল মসজিদে সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার। ছবি: সংগৃহীত

কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাদপন্থীরা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী মসজিদে প্রবেশ করে অবস্থান নেন। এর আগে থেকে মসজিদের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গত সাত বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুবায়েরপন্থীরা কাকরাইল মসজিদে ৪ সপ্তাহ এবং সাদপন্থীরা ২ সপ্তাহ পর্যায়ক্রমে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে সাদপন্থীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন। সম্প্রতি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুটি পর্বে হবে—৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

অন্যদিকে, জুবায়েরপন্থী ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ইজতেমা একবারই করার দাবি জানান এবং কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন, যা উত্তেজনার কারণ হয়ে ওঠে। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুবায়েরপন্থীরা সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে, কাকরাইলে সাদপন্থীদের কোনো সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে।

সাদপন্থীরাও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদে আলাদা কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে পারেন। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্বের মতো আলাদা আলাদা কার্যক্রম চালালে সংঘাত এড়ানো সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

এরপর বুধবার রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এক জরুরি বিবৃতিতে জানায় যে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বৃহত্তর স্বার্থে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত পূর্বের নিয়ম মেনে চলার জন্য ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এবং কাকরাইল মসজিদের পক্ষ থেকে সম্মতি জানানো হয়।

repoter