
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর, কোটচাঁদপুর) আসনের জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নতুন আশায় বুক বাঁধছে। বিগত ১৬ বছরে ভোটকেন্দ্রে যেতে না দেওয়া, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ানোসহ নানা সমস্যার অবসান ঘটবে বলে আশা করছে এলাকাবাসী। এবারের নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে এবং নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে চায়। এই শুভক্ষণের অপেক্ষায় গোটা এলাকা প্রহর গুনছে।
এই আসনে বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক যোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যে জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
জনাব মেহেদী হাসান রনি:
মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিত মেহেদী হাসান রনি তিনবারের সংসদ সদস্য এবং প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত দুঃসময়ে দলের একমাত্র কাণ্ডারি হিসেবে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করেছেন।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল:
তরুণ আইনজীবীদের আইকন হিসেবে পরিচিত রুহুল কুদ্দুস কাজল মহেশপুরের কৃতি সন্তান। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর মামলা মোকাবেলা করেছেন।
কেএম আমিরুজ্জামান খান শিমুল:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা শিমুল জিয়া হলের ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নম্রতা ও মেধা এলাকাবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে।
মনির খান:
জাসাসের সাবেক সেক্রেটারি ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে তাদের মন জয় করেছেন।
জনাব মতিয়ার রহমান:
জামায়াত ইসলামের সমর্থক মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা ও কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত। তার মেধা ও সততা এলাকাবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে।
এলাকাবাসী এবারের নির্বাচনে একজন দক্ষ, মেধাবী ও ন্যায়পরায়ণ প্রতিনিধি চায়, যিনি জনগণের পাশে থেকে তাদের সমস্যার সমাধান করবেন। নতুন কোনো প্রার্থী বা দলের আগমন ঘটলেও তাকে অবশ্যই জনবান্ধব ও ন্যায়নীতির মধ্যে থাকতে হবে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচনে তারা একজন যোগ্য প্রতিনিধি পাবেন, যিনি তাদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করবেন।
- মোঃ গোলাম মোস্তফা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
repoter