
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
এসএমই ও কৃষি খাতের উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি প্রদান, উদ্যোক্তা উন্নয়নে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ঢাকা, ২৮ জুন — বিশ্ব এমএসএমই (মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প) দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাতজন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত উদ্যোক্তা সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতাধিক উদ্যোক্তার উপস্থিতিতে প্রাইম ব্যাংক তাদের উদ্যোক্তা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ১১ হাজার ৫০০-এরও বেশি সক্রিয় ঋণগ্রহীতার মধ্য থেকে ছয়জন এসএমই খাতের এবং একজন কৃষি খাতের উদ্যোক্তাকে সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।
সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের পণ্যের বৈচিত্র্য, বার্ষিক আয়, কর্মসংস্থানে নিয়োজিত জনবল, ব্যাংকের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক, নারী বা পুরুষ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় এবং উদ্যোগের ধরন যেমন উৎপাদন, সেবা বা বাণিজ্য—এসব মানদণ্ড বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা। কী-নোট বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নাজিম এ চৌধুরীসহ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। এই খাত গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে, ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, প্রাইম ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এসএমই ও এমএসএমই খাতের উন্নয়ন ও অর্থায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ১৫০টিরও বেশি শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এই সম্মাননা প্রাপ্ত উদ্যোক্তারা যাতে আরও উদ্যমী হয়ে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন এবং দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ধরণের স্বীকৃতি উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং জাতীয় অর্থনীতির টেকসই অগ্রগতিতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আরও বেশি সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন। তারা মনে করেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, দক্ষতা উন্নয়ন, সহজ ঋণপ্রাপ্তি ও নীতিগত সহায়তা—এসব বিষয় উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, বিশ্ব এমএসএমই দিবস প্রতি বছর ২৭ জুন পালিত হয়। এ দিবসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অবদানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়। প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তাদের মনোবল আরও দৃঢ় হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
repoter