
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
হেডিংলি টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি পেলেন ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটার; জোটেছে ডিমেরিট পয়েন্টও
হেডিংলি টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করে নজর কাড়লেও বিতর্ক থেকে রক্ষা পেলেন না ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটার রিশাভ পান্ত। ম্যাচের তৃতীয় দিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় তাকে তিরস্কার করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একইসঙ্গে পেয়েছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার, হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনে। খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক পর ভারতের পেসার জসপ্রীত বুমরা বল পরিবর্তনের অনুরোধ করেন। মাঠের আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফিনি সেই অনুরোধে সাড়া না দিলে রিশাভ পান্ত এগিয়ে এসে বল পরিবর্তনের ব্যাপারে আরেক আম্পায়ার পল রেইফেলের সঙ্গে কথা বলেন। রেইফেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তখন বল পরিবর্তনের সময় হয়নি।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে পান্ত রাগের মাথায় বল ছুড়ে মেরে ফিরে যান উইকেটের পেছনে। আম্পায়ারের প্রতি এমন অসদাচরণ আইসিসির আচরণবিধির আওতায় পড়ে। আইসিসি জানিয়েছে, আচরণবিধির ২.৮ ধারা অনুযায়ী এটি লেভেল ১ পর্যায়ের অপরাধ।
লেভেল ১ অপরাধের জন্য সাধারণত সর্বনিম্ন শাস্তি হিসেবে তিরস্কার, ম্যাচ ফির সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্তন এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। লেভেল ২ অপরাধ হলে শাস্তি আরও কড়াকড়ি হয়—ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয় এবং এক টেস্ট বা দুই ওয়ানডে ম্যাচে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হতে পারে।
আইসিসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রিশাভ পান্ত স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে তাকে নিয়ে কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি। গত ২৪ মাসে এটি পান্তের প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ দিনটিতেই রিশাভ পান্ত পূর্ণ করেন তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং পরে দ্বিতীয় ইনিংসে করেন আরেকটি শতক—যা ম্যাচটিকে ভারতের জন্য দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যায়। যদিও পান্তের ব্যাট দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও মাঠের আচরণে যে আরও সংযত হওয়া প্রয়োজন, সেটাই মনে করিয়ে দিল আইসিসি।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১০ উইকেট, আর ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট ৩৫০ রান। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতেই পান্তের এই শাস্তি টিম ইন্ডিয়ার জন্য অপ্রত্যাশিত এক দিক বটে। তবে বড় শাস্তি না হওয়ায় স্বস্তিতেই থাকতে পারে ভারতীয় শিবির।
রিশাভ পান্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরও পরিণত আচরণই আশা করে ক্রিকেট বিশ্ব, বিশেষত যখন তারা সাফল্যের শিখরে থাকেন।
repoter