
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' এর প্রভাবে পাকিস্তান সুপার লিগে নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিদেশি খেলোয়াড়দের দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা
ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' নামক প্রতিশোধমূলক হামলার ফলস্বরূপ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর ওপর নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, এবং এই আক্রমণের রেশ পৌঁছেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ম্যাচগুলোতে। বিশেষ করে, রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমিরের ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে ভারতীয় ড্রোন হামলার কারণে।
৮ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই ম্যাচটি, কিন্তু হামলার পরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ম্যাচটি বাতিল করে। শুধু রাওয়ালপিন্ডি ম্যাচই নয়, পরবর্তী লাহোর বনাম জালমিরের ম্যাচটিও বাতিল করা হয়েছে। ভারতের হামলায় পাকিস্তানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এখন উদ্বেগের বিষয় হল বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা। ইংল্যান্ডের সাত ক্রিকেটার—জেমস ভিন্স, টম কারান, স্যাম বিলিংস, ক্রিস জর্ডান, ডেভিড উইলি, লুক উড এবং টম কোলার-ক্যাডমোর—এখন পিএসএল ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাদের সঙ্গে আছেন ইংল্যান্ডের কোচ রবি বোপারা এবং আলেক্সান্ড্রা হার্টলিও। এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই সদস্য নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনও পাকিস্তানে অবস্থান করছেন এবং তারা দেশের নিরাপত্তাহীনতার কারণে ফিরে আসতে চান বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এক ক্রিকেট এজেন্ট বলেছেন, “সব কিছু এখনও স্বাভাবিক, তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি কিছু ঘটে, তাহলে অনেকেই হয়তো পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাবেন।” যদিও নিরাপত্তার কারণে পিসিবি বিদেশি খেলোয়াড়দের পাকিস্তান ত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি, তবে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
পিসিবির মুখপাত্র জানিয়েছেন, "আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই বর্তমানে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।" তারা জানিয়ে দিয়েছে যে পিএসএল এর ম্যাচগুলোর স্থানান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু খরচ ও নিরাপত্তার ঝুঁকি কারণে বিদেশে ম্যাচ স্থানান্তর করার চিন্তা অনেকটাই কম। তবে দোহা ও দুবাইকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
পিএসএলের গ্রুপ পর্বের বাকি মাত্র ছয়টি ম্যাচ ছিল—তিনটি রাওয়ালপিন্ডি ও একটি মুলতানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর পরবর্তী ম্যাচগুলো ছিল ১৩ মে কোয়ালিফায়ার, ১৪ ও ১৬ মে এলিমিনেটর এবং ১৮ মে লাহোরে ফাইনাল। তবে এখন এই সমস্ত ম্যাচ এবং ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, পেহেলগামের হামলার পর থেকেই ভারতীয় সম্প্রচার সংস্থা সনি ও ফ্যানকোড পিএসএলের ম্যাচ সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে, যার ফলে ভারতীয় দর্শকরা আর এই উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবে আক্রান্ত খেলা দেখতে পারছেন না।
repoter