
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং চাহিদা মেটাতে চাল, ডাল ও চিনি সংগ্রহের জন্য পৃথক তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (এসিসিজিপি) ৫ম সভায় এই প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই প্রস্তাবগুলো অনুমোদিত হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং রমজানের শেষ পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেন, পণ্যের সরবরাহের পাশাপাশি কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে খাদ্য কর্তৃপক্ষ সরকারি পর্যায়ে ভিয়েতনামের ভিয়েতনাম সাউদার্ন ফুড কর্পোরেশন (ভিনাফুড ১১) থেকে জি২জি পদ্ধতিতে ৫৭৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির (ওটিএম) মাধ্যমে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ১১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি সংগ্রহ করবে। এতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৫ দশমিক ৪২ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের আওতায় টিসিবি একই পদ্ধতিতে শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮ দশমিক ৪৫ টাকা।
repoter