
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি। শপথ গ্রহণের আগে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চা পান করেন ট্রাম্প। এ সময় হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে বাইডেন তাকে স্বাগত জানিয়ে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলেন। সাংবাদিকরা দুজনের কাছে নানা প্রশ্ন করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
হোয়াইট হাউসে এই সাক্ষাৎ তাদের প্রথম, যা শপথ অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে। শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ট্রাম্প নির্বাহী ক্ষমতার সীমা বাড়ানো, অভিবাসন নীতি কঠোর করা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার অবস্থান পুনর্বিন্যাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ক্যাপিটল ভবনের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল অস্থায়ী মঞ্চে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এটি ভবনের অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত করা হয়। শপথ অনুষ্ঠানে নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসও ট্রাম্পের সঙ্গে শপথ নেন।
শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প উদ্বোধনী ভাষণ দেন, যেখানে তিনি তার আগামী চার বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি, জ্বালানি খাতের সংস্কার এবং আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এই সব সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার জন্য তিনি শপথ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন।
নতুন প্রশাসনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় রবিবার। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি. ছিল উৎসবমুখর।
এদিকে, উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প জাতির ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “আমরা জাতি হিসেবে একসঙ্গে কাজ করবো এবং এক নতুন অধ্যায় শুরু করবো। এটি হবে এমন একটি অধ্যায়, যেখানে প্রতিটি আমেরিকানের স্বপ্ন পূরণ হবে।”
অনুষ্ঠান শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ ক্যাপিটল ভবনের সামনের এলাকায় জড়ো হন। তাদের উপস্থিতিতে পুরো শহর উদ্দীপনা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে মুখর হয়ে ওঠে।
repoter