
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
সাত বছরের দীর্ঘ বিরতির পর এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়েরুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি বছর লন্ডনে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া লন্ডনে গমন করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধু, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী এবং তিন নাতনিকে নিয়ে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনে অবস্থানকালে দীর্ঘদিন পর পরিবারের এতজন প্রিয়জনকে একসঙ্গে কাছে পেয়ে ঈদের আনন্দও এবার তার জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় তিনি প্রায় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন এবং ঈদুল আজহা পালন করেছিলেন পরিবারের সঙ্গে। তবে এরপর দেশের রাজনীতিতে নানা প্রেক্ষাপটে কারাবরণ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাটানো সময়ের কারণে আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ নিজ এলাকায় ও ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাতেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন এবং ঈদের দিন সকালে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের নিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে তিনি দলের প্রধান উপদেষ্টার বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ঈদের সময় লন্ডনে থাকবেন। দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন। অন্য নেতাদের বেশিরভাগই ঢাকায় অবস্থান করবেন এবং ঈদের নামাজের পর দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন বলে জানা গেছে।
এবারের ঈদ বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য যেমন এক আবেগঘন পুনর্মিলনের মুহূর্ত, তেমনি দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও একধরনের সান্ত্বনা এনে দিয়েছে। দীর্ঘ সময় পর খালেদা জিয়ার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন তার সুস্থতা এবং পারিবারিক বন্ধনের একটি আশাব্যঞ্জক প্রতিচ্ছবি হিসেবেও দেখা হচ্ছে দলীয় মহলে।
সার্বিকভাবে, এবার ঈদটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়—বরং বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক প্রশান্তির উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা প্রিয় নেত্রীর এ আনন্দঘন মুহূর্তের কথা জেনে আবেগাপ্লুত ও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
repoter