
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আলোচনার অংশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইনানের উপকূলীয় শহরে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রত্যাশা করছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওয়ান-চায়না নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগদানের গৌরব প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সহায়তা চেয়েছে এবং ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার অনুরোধ করেছে। একই সঙ্গে চীনা অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর কমিটমেন্ট ফি মওকুফের আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনের তৈরি পোশাক, বৈদ্যুতিক যান, হালকা যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, চিপ ও সৌর প্যানেল শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। এছাড়া, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী এবং মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন ও দাশেরকান্দি প্রকল্পে অর্থায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এছাড়া চীন বাংলাদেশ থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল ও জলজ পণ্য আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও স্কলারশিপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের শিপিং করপোরেশনের জন্য চারটি সমুদ্রগামী জাহাজ কেনার অর্থায়নেও আগ্রহ প্রকাশ করে চীন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে সংলাপ চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়। অধ্যাপক ইউনূস এই বৈঠককে বাংলাদেশ-চীন অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।
repoter