
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
সারা দেশে মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা ছিল, আছে এবং থাকবে।’
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত পঁচিশ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের জাতি হাজার বছর গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’ এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের বীর সন্তানেরা যেমন ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য, ১৯৭১ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, ঠিক তেমনই ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে তারা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
তিনি শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধসহ অন্য শহীদদের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছেন, তারা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে নিশ্চিত করছি— শহীদ পরিবারের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা থাকবে।’
অনুষ্ঠানে শহীদ কিশোর আদিলের মাতা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘আগেও ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি একজন ভালো মানুষ। আমাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মন দিয়ে শুনেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, আগামীতেও আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা তার এই উদ্যোগে খুবই খুশি।’
শহীদ কিশোর আদিলের পিতা মো. আবুল কালাম আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না, কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাদের যেভাবে সম্মান জানালেন এবং ঈদের আগে আমাদের ডেকে নিয়ে ইফতার করালেন, তাতে কিছুটা হলেও মনে প্রশান্তি এসেছে। তিনি একজন আন্তরিক মানুষ এবং শহীদ পরিবারের প্রতি তার ভালবাসা আমাদের স্পর্শ করেছে।’
ঈদ উপহার হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে চাল, লাচ্ছা সেমাই, সয়াবিন তেল, ডাল, লবণ, নুডলস ও গুড়া দুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসক জানান, এই সহায়তা শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং শহীদ পরিবারের প্রতি তাঁর ও প্রশাসনের দায়বদ্ধতার একটি ছোট প্রতিচ্ছবি। তিনি ভবিষ্যতেও শহীদ পরিবারদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
repoter