
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ডের যৌথ প্রস্তাবনায় উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে, যা রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ভোটে ১৪১টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়, কোনো দেশ বিপক্ষে ভোট না দিলেও ১০টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীর তাগাদায় রাশিয়ার কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় একে "রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি" হিসেবে অভিহিত করেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। যদিও মিয়ানমার ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে নতুন করে ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আন্তর্জাতিক উদ্যোগ:
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে কক্সবাজার শিবির পরিদর্শন করে "স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন"-এর ওপর জোর দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় (বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন) আলোচনা ছাড়াও জাতিসংঘ, ওআইসি ও অন্যান্য ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
ঢাকা আশা করছে, এই প্রস্তাব রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার ও প্রত্যাবাসনের দাবিকে আরও শক্তিশালী করবে। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ইতিমধ্যে জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে "সব স্টেকহোল্ডারের অংশগ্রহণে" একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিকীকরণে নতুন গতি যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন
repoter