
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি—এই মন্তব্য করে দেশের কোরআন চর্চা ও প্রতিভার অগ্রগতিকে হৃদয়ের গহীন থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো: প্রতিভার সন্ধানে’ গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের মাতৃভাষা আরবি না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের শিশু-কিশোরেরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আরবি ভাষাভাষীদের পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করছে। এ অর্জন আমাদের গর্বিত করে, বুকটা স্ফীত হয়ে ওঠে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে পিএইচপি কোরআনের আলো দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কোরআনের প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করছে। এই উদ্যোগ গ্রামের মাটিতেও লুকিয়ে থাকা হাফেজদের আলোয় আলোকিত করছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মহসিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মহিউদ্দিন এবং তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ-এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার হাম্মাদ আমিন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার হাফেজ মহিব্বুল্লাহ মাসুম। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ঝিনাইদহের হাফেজ মুহাম্মদ হুসাইন আহমদ, তৃতীয় হয়েছেন নেত্রকোনার হাফেজ শোয়েবুর রহমান এবং চতুর্থ স্থান লাভ করেছেন কুমিল্লার হাফেজ আবদুল্লাহ আল সামিম।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে প্রাইজমানি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এই আয়োজনে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল পিএইচপি ফ্যামিলি ও ইনফিনিটি মেগা মল। পাশাপাশি কো-স্পন্সর হিসেবে ছিল আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং স্মার্ট একটিভ গোল্ড মেহেদি।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল এক আবেগঘন পরিবেশ, যেখানে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোরআনের প্রতিভাগুলোকে একত্রিত করে তাদের সম্মান জানানো হয়। আয়োজনটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং ছিল কোরআনপ্রেমী জাতির একটি অনন্য সম্মেলন।
পিএইচপি কোরআনের আলো ফাউন্ডেশন ও এনটিভির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান কোরআন শিক্ষার বিস্তার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম উপদেষ্টা এ ধরনের আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এই আয়োজন প্রমাণ করে, বাংলাদেশ শুধু কোরআন ভালোবাসে না, বরং এই ভালোবাসাকে প্রতিভায় রূপান্তরিত করে বিশ্বদরবারে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলছে।
repoter