
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি কর্মীদের দ্বিতীয় দফায় ই-মেইল পাঠিয়েছে। এই ই-মেইলে কর্মীদের এক সপ্তাহের কাজের সারসংক্ষেপ জানিয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির মানবসম্পদ বিভাগ (ওপিএম) বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় এই ই-মেইল পাঠিয়েছে। মেইলে কর্মীদের গত এক সপ্তাহের পাঁচটি অর্জন উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
ইলন মাস্ক, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক, তিনি জানিয়েছেন যে এই ই-মেইলের জবাব দেওয়া নির্বাহী বিভাগের সব কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে যদি কোনো কর্মী গোপনীয় বা সংবেদনশীল কাজে যুক্ত থাকেন, তাহলে অন্তত সেই তথ্য জানিয়ে হলেও মেইলের জবাব দিতে হবে।
গত সপ্তাহেও একই ধরনের ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। সেবার জবাব দিতে ব্যর্থ হলে কর্মীদের চাকরিচ্যুতির হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোসহ বেশ কিছু বিভাগ তাদের কর্মীদের এই ই-মেইলের জবাব দিতে নিষেধ করে।
এই নির্দেশনার পেছনে উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মীদের কাজের অগ্রগতি ও উৎপাদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করা। ইলন মাস্কের এই পদক্ষেপকে কিছু বিশ্লেষক প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে কিছু বিভাগের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা মানতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে, বিশেষ করে যেসব বিভাগ গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কাজ করে।
এই ই-মেইল প্রেরণের প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু কর্মী ও প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু কর্মী এই পদক্ষেপকে তাদের কাজের চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, আবার কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে এটি কর্মীদের মধ্যে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এই ই-মেইলের জবাব দিতে নিষেধ করার সিদ্ধান্তটি উল্লেখযোগ্য। এই সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে যে তাদের কর্মীদের কাজের বিবরণী প্রকাশ করা গোপনীয়তা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই বিভাগগুলোর কর্মীরা সাধারণত উচ্চ মাত্রার গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করেন, তাই তাদের কাজের বিবরণী প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ইলন মাস্কের এই নির্দেশনা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। কিছু কর্মী এই পদক্ষেপকে তাদের কাজের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কিছু কর্মী এটিকে তাদের কাজের অগ্রগতি প্রকাশের একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এই ই-মেইল প্রেরণের প্রক্রিয়াটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এবং এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন যে এই পদক্ষেপ কর্মীদের মধ্যে কাজের চাপ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই উচ্চ চাপের মধ্যে কাজ করছেন।
এই ইস্যুটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছে। ইলন মাস্কের এই নির্দেশনা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হলেও, এটি কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে এটি স্পষ্ট যে এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কর্মীদের কাজের অগ্রগতি প্রকাশের এই নতুন পদ্ধতি কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
এই ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ইলন মাস্কের এই নির্দেশনা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হলেও, এটি কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে এটি স্পষ্ট যে এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কর্মীদের কাজের অগ্রগতি প্রকাশের এই নতুন পদ্ধতি কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
repoter