
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ দিনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা, কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইতিমধ্যে রোববার (১৬ মার্চ) এ সংক্রান্ত চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্কুল ও কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনাসভার আয়োজন করতে হবে। এছাড়া ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সুবিধাজনক সময়ে জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে সকাল ৯টায় সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের আয়োজন করতে হবে। এদিন সাধারণ ছুটি থাকলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ২৩ মার্চের মধ্যে জেলা ও উপজেলায় স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফুটবল, টি-২০ ক্রিকেট, কাবাডি ও হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করতে হবে। ১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ক্রীড়া অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করতে হবে।
এসব কর্মসূচির মাধ্যমে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
repoter