ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:২৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

শাহবাগ অবরোধ: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ

repoter

প্রকাশিত: ০৫:০৬:৩০অপরাহ্ন , ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৫:০৬:৩০অপরাহ্ন , ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন আহতরা। তারা সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ জানান, আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিএসএমএমইউর সামনে অবস্থান করছেন। তবে মোড়ের অন্যান্য লেন দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে আহতদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। তারা আহতদের দুইটি ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন অনুদান এবং পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তির জন্য সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার দাবি জানানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে যারা চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম রয়েছেন, তাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা, এককালীন অনুদান এবং সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়া, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই আইনের মাধ্যমে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা আরও দাবি করেছেন, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মানসিক কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টোল-ফ্রি হটলাইন চালুর দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এখনো কোনো সরকারি প্রতিনিধি আলোচনা করতে আসেননি বলে জানা গেছে। তবে তারা তাদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

repoter