
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
হামাস ইসরায়েলের বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই দেহাবশেষগুলো ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে তারা। এএফপি গাজা নগরী থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর, এই প্রথমবার হামাস দেহাবশেষ হস্তান্তর করছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, শিরি বিবাস, তার দুই শিশু সন্তান কেফির ও এরিয়েল এবং চতুর্থ বন্দি ওদেদ লিফশিৎজের মরদেহ গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলের কাছে ফেরত পাঠানো হবে। ৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাসের সদস্যদের হাতে তাদের অপহরণের ভিডিও এবং সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গিয়েছিল যে, মা শিরি এবং তার দুই শিশুপুত্র আরিয়েল (৪) ও কেফির (৯ মাস) গাজা সীমান্তের কাছে তাদের বাড়ি থেকে অপহৃত হচ্ছিল।
শিরির স্বামী ইয়ার্ডেন বিবাসকেও একই দিনে আলাদাভাবে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে, ১ ফেব্রুয়ারি, পূর্ববর্তী একটি বন্দী-বিনিময়ের মাধ্যমে গাজা উপত্যকা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতের পর, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে এই দেহাবশেষ হস্তান্তর হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই ঘটনাকে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত কঠিন এবং হৃদয়বিদারক দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বৃহস্পতিবারকে একটি শোকের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধবিরতির এই প্রথম পর্যায়ে, রেড ক্রসের মধ্যস্থতায় ধারাবাহিক বিনিময়ের অংশ হিসেবে হামাস এখন পর্যন্ত ১৯ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। সেই সঙ্গে ১,১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রথম ধাপে মুক্তির জন্য যোগ্য ১৪ জন গাজা জিম্মির মধ্যে আটজন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন।
বুধবার গভীর রাতে, ইসরায়েলি প্রচারণা গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম বিবাস পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর হৃদয়বিদারক খবরটি নিশ্চিত করেছে।
repoter