
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসনসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই আমরণ অনশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মূল ফটকসহ বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
সোমবার সকাল থেকেই এই আন্দোলনের পাশাপাশি শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পোস্ট দিয়ে আন্দোলনের খবর ছড়িয়ে দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ছাড়াও উদ্ভিদবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ফার্মেসি, গণিত, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘শাটডাউন’-এ অংশ নিয়েছে।
প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন অনুষদের গেটগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের অনশনরত সহপাঠীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না এবং গেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সহপাঠীরা জীবন বাজি রেখে আমরণ অনশনে বসেছে। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নেবে না। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের ভাইয়েরা মরে যাবে, আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব, তা হতে পারে না। আমরা শাটডাউন ঘোষণা করেছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দাবি পূরণের ক্ষেত্রে প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
repoter