
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও লেনদেনের চিত্র ছিল ভিন্ন। ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে, অপরদিকে সিএসইতে কিছুটা কমেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোমবার আট পয়েন্ট বেড়ে ৪,৯৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট কমে ১,০৯৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১,৮৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫৮৪ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ফলে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা। এদিন মোট ৪০০টি কোম্পানি ও ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৭৩টির দর বেড়েছে, ১৬৯টির দর কমেছে এবং ৫৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৩,৮৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে মোট ১৯৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টির দর বেড়েছে, ৬০টির কমেছে এবং ২৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে লেনদেনে চিত্র ছিল উল্টো। সিএসইতে এদিন ছয় কোটি টাকার শেয়ার ও ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ছয় কোটি ৩৯ লাখ টাকার।
সার্বিকভাবে সোমবারের বাজার পরিস্থিতি ছিল মিশ্র। সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও সিএসইর লেনদেনে কিছুটা স্থবিরতা লক্ষ করা গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার ও বাজারে তারল্য বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কার্যক্রম এবং ইতিবাচক নীতিগত সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
repoter