ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আহ্বান মহাসচিবের
ঢাকা, ১ জুলাই —
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে সংস্কারের ধারণা সবচেয়ে আগে এনেছে বিএনপি, অথচ এখন বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এটি একটি সুচতুর রাজনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় সময়োপযোগী রাজনৈতিক সংস্কারে বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। দলীয়ভাবে যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখলে বিএনপির অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বৃহৎ ঐক্যের বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন, একটি কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ন্যূনতম ঐকমত্য আবশ্যক।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যারা বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা মূলত গণতন্ত্রের পথকে জটিল করে তুলছেন। তিনি দাবি করেন, এই ধরনের প্রচারণার পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ রয়েছে।
সভায় মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন সংকট ও চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি স্তরে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার যে চিত্র ফুটে উঠছে, তার মূল কারণ হলো একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, এই বাস্তবতা থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রূপরেখা দরকার।
তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই যারা বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলছেন, তারা হয় এই প্রস্তাবগুলো পড়েননি অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করছেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে বিএনপি বারবার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান, বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে না পড়ে বাস্তবতা ও দলীয় নীতিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সবাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
repoter

