
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক, জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন
ঢাকা, ১ জুলাই —
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, এই বৈঠক ছিল সম্পূর্ণভাবে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ, যেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বিষয়ে সাধারণ কিছু আলোচনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ নিয়ে এতদিন নির্বাচন কমিশন বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সংশয় দূর করতে আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল একটি সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। সেই অনুযায়ী সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বৈঠকে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা সময়সীমা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে তিনি স্পষ্ট করেন।
বৈঠকের পরপরই শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিইসি রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ কমিশনে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছিলেন, এবং কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নির্বাচন কমিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠককে ঘিরে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত জল্পনা তৈরি হয়।
তবে এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি আবারও স্পষ্ট করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়েও কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল—এই সময়সীমাকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করবে।
সিইসি আরও জানান, কমিশনের সব বিভাগ ও শাখা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বৈঠকের বিষয়ে আর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক গোপন এজেন্ডা থাকার বিষয়টি নাকচ করে দেন এবং বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
repoter