
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফয়জুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গ্রীষ্মে দেশে লোডশেডিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও তা সহনীয় মাত্রায় থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম ও শহরের মধ্যে এবার কোনো ধরনের বৈষম্য রাখা হবে না। বিদ্যুৎ সরবরাহে সকল অঞ্চলে সমান নীতি অনুসরণ করা হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে অনুষ্ঠিত ‘সেমিনার অন এনার্জি ক্রাইসিস: ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক আলোচনায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফয়জুল কবির খান।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে, যেখানে ১৭৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছে। তবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বাড়তি এলএনজি এবং কয়লা আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি তেলের ব্যবহার সীমিত রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের অর্থনীতি পূর্বের তুলনায় এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। আশা করছি, বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও আমরা ম্যানেজ করতে পারবো। তবে এটা বলতে পারছি না যে একেবারেই লোডশেডিং হবে না। সহনীয় মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত আছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগে যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিত, তখন গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাগুলোতে প্রথমে লোডশেডিং শুরু হতো। এবার থেকে সেই প্রথা বদলে, দেশের সব এলাকায় সমানভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কার্যকর করা হবে।
ভর্তুকি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুহাম্মদ ফয়জুল কবির খান জানান, চলতি অর্থবছরে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে বাজেট কাটছাঁট করা হয়েছে, যার ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই সাশ্রয়কৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে জমে থাকা বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আগামী অর্থবছরে আর অতিরিক্ত বকেয়ার চাপ থাকবে না। আমদানি খরচ অনুযায়ী বিল পরিশোধ করা হবে। ফলে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে না, বরং কমবে।"
এছাড়া তিনি জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
repoter