
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং পজিশনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সর্বশেষ সিলেট টেস্টেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। ফলে আসন্ন চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার এনামুল হক বিজয়। দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে গাজী আশরাফ বলেন, “আমার মনে হয় ওপেনারদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা যেভাবে আউট হয়েছে, আউটের ধরণ দেখলেই বোঝা যায় কোথায় সমস্যা। বিজয় বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তাকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দ্বিধা ছিল না। একটু দেরি হলেও সে তার প্রাপ্য সুযোগটি পেয়েছে।”
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করছেন এনামুল হক বিজয়। ১৪ ইনিংসে ৭৯.৪৫ গড় এবং ৯৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৮৭৪ রান, যার মধ্যে রয়েছে ৪টি শতক এবং ৪টি অর্ধশতক। শুধু তাই নয়, এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) ১৩ ইনিংসে ১ শতক ও ৬ ফিফটির সাহায্যে করেছিলেন ৭০০ রান, যা ছিল সেই আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও ১২ ইনিংসে ১ শতক ও ২ ফিফটি নিয়ে ৩৯২ রান করেছেন তিনি।
প্রধান নির্বাচক জানান, বিজয় সবসময় নির্বাচকদের ভাবনায় ছিলেন এবং পরিকল্পনার মধ্যেই ছিলেন। তিনি বলেন, “কোনো ক্রিকেটারকে হুট করে জাতীয় দলে ফেরানোর পরিবর্তে আমরা আগে ‘এ’ দলে খেলার সুযোগ দিয়ে প্রস্তুত করতাম। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছর পাকিস্তানে ‘এ’ দলের সফরে বিজয় ছিল। এবারের প্রথম টেস্টে ওপেনাররা যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তাতে নতুন সুযোগ তৈরী হয়েছে। আর সে সুযোগটিই পেয়েছে বিজয়, কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণেই সে দারুণভাবে খেলে যাচ্ছে।”
এনামুল হক বিজয়ের জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্তকে তাই শুধু একজন ক্রিকেটারের ফর্ম বিবেচনা করেই নয়, বরং নির্বাচকদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন গাজী আশরাফ। তার মতে, যারা দলে সুযোগ পাচ্ছে, তাদের দায়িত্ব নিজেদের প্রমাণ করা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে জায়গা ধরে রাখা।
দীর্ঘ সময় পর আবারও জাতীয় দলে ফিরছেন বিজয়, এবার চট্টগ্রাম টেস্টে দেখা যাবে তার পারফরম্যান্স। দীর্ঘদিন টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকা এ ব্যাটারের উপর নজর থাকবে দলীয় ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক ও সমর্থকদের।
repoter