
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষের ইচ্ছা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এই সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে যদি উভয় দেশের জনগণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় হিলি স্থলবন্দরের সভাকক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া আগের তুলনায় অনেকাংশেই সহজতর করা হয়েছে এবং অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান সংখ্যা অনেক বেশি। তবে এখনো কিছু প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে, যেগুলো দূর করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে দুপুর ১২টায় মনোজ কুমার হিলি সীমান্তের চেকপোস্টে পৌঁছান এবং সেখানে দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হিলি কাস্টমস এলাকায় ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। একইসঙ্গে তিনি ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথেও মতবিনিময় করেন।
ভারতীয় কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মনোজ কুমার আবার চেকপোস্টে ফিরে আসেন এবং বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল, ক্রেস্ট ও উত্তোরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর তিনি পুনরায় বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করলে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং বন্দরের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বন্দরের ব্যবসায়ীরা ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ভারতের অভ্যন্তরে কোয়ারেন্টাইন অফিস স্থাপন এবং আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার নানা জটিলতা তুলে ধরেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এখনো বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রক্রিয়াতেও জটিলতা রয়েছে। এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় সহকারী হাইকমিশনারের কাছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকসহ বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা।
সভার সমাপ্তিতে উভয় দেশের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মনোজ কুমার জানান, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আগামীতেও সুদৃঢ় রাখতে ভারত আন্তরিক থাকবে এবং উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ নীতির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
repoter