ঢাকা,  রবিবার
১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ০৫:০১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল * ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে * ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উপস্থিতি * মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই: এটিইউ প্রধান * হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ * চাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও ব্যালট নম্বর প্রকাশ * মানুষের আস্থা অর্জনই বিচার বিভাগের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি * শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি * বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বৈঠক * ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮ জন

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুমোদন: সন্ত্রাসে জড়িত সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত

repoter

প্রকাশিত: ০৭:১৮:১৩অপরাহ্ন , ১১ মে ২০২৫

আপডেট: ০৭:১৮:১৩অপরাহ্ন , ১১ মে ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান সংযোজন করে 'সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া নীতিগত চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠক শেষে প্রকাশিত সারসংক্ষেপে জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষায় যেসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা প্রয়োজন এবং সেসব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলোর কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত করা আবশ্যক—এই বিবেচনায় ২০০৯ সালে 'সন্ত্রাসবিরোধী আইন' প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার আলোকে এই আইনের সংশোধন জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মত দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বর্তমান আইনে ব্যক্তি পর্যায়ে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আলাদা করে কোনো বিধান ছিল না। নতুন করে প্রস্তাবিত সংশোধনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশে সরকার যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে মনে করে যে, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত, তাহলে সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে উক্ত ব্যক্তি বা সত্তাকে নিষিদ্ধ এবং তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

এই সংশোধনের মাধ্যমে কেবল সত্তাকে নিষিদ্ধ করাই নয়, তার সকল কর্মকাণ্ড বন্ধের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারও নিষিদ্ধ করা যাবে। এর ফলে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বা প্রচারণার বিস্তার রোধে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।

সরকার সংশোধনী অধ্যাদেশটি খুব শিগগিরই, সম্ভবত সোমবার (১২ মে), আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশ আকারে জারি করবে বলে জানা গেছে। সংশোধনীটি জারি হলে আইনটির প্রাসঙ্গিকতা বাড়বে এবং সমসাময়িক সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন এই সংশোধনী শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দৃঢ় করবে না, বরং ডিজিটাল অনলাইন জগতে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট প্রভাব হ্রাসেও ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, ধরনের আইনগত পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং আধুনিক সমাজে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

repoter