ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৩৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুমোদন: সন্ত্রাসে জড়িত সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত

repoter

প্রকাশিত: ০৭:১৮:১৩অপরাহ্ন , ১১ মে ২০২৫

আপডেট: ০৭:১৮:১৩অপরাহ্ন , ১১ মে ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান সংযোজন করে 'সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া নীতিগত চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠক শেষে প্রকাশিত সারসংক্ষেপে জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষায় যেসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা প্রয়োজন এবং সেসব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলোর কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত করা আবশ্যক—এই বিবেচনায় ২০০৯ সালে 'সন্ত্রাসবিরোধী আইন' প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার আলোকে এই আইনের সংশোধন জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মত দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বর্তমান আইনে ব্যক্তি পর্যায়ে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আলাদা করে কোনো বিধান ছিল না। নতুন করে প্রস্তাবিত সংশোধনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশে সরকার যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে মনে করে যে, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত, তাহলে সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে উক্ত ব্যক্তি বা সত্তাকে নিষিদ্ধ এবং তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

এই সংশোধনের মাধ্যমে কেবল সত্তাকে নিষিদ্ধ করাই নয়, তার সকল কর্মকাণ্ড বন্ধের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারও নিষিদ্ধ করা যাবে। এর ফলে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বা প্রচারণার বিস্তার রোধে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।

সরকার সংশোধনী অধ্যাদেশটি খুব শিগগিরই, সম্ভবত সোমবার (১২ মে), আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশ আকারে জারি করবে বলে জানা গেছে। সংশোধনীটি জারি হলে আইনটির প্রাসঙ্গিকতা বাড়বে এবং সমসাময়িক সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন এই সংশোধনী শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দৃঢ় করবে না, বরং ডিজিটাল অনলাইন জগতে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট প্রভাব হ্রাসেও ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, ধরনের আইনগত পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং আধুনিক সমাজে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

repoter