ছবি: হানিফ সংকেত ছবি : ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে
বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত দীর্ঘ তিন যুগ ধরে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান দিয়ে দর্শকের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কথা বলা, অসংগতি তুলে ধরা ও সততার সঙ্গে কাজ করা তার মূল লক্ষ্য। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি টেলিভিশন যাত্রা, ইত্যাদি অনুষ্ঠান, সমাজ সচেতনতা ও তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন।
হানিফ মনে করেন, ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো দর্শকের ভালোবাসা ও আস্থা। নব্বইয়ের দশক থেকে অনুষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে, নতুন প্রতিভা উপহার দিচ্ছে, এবং প্রতিটি পর্ব নতুন আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে আসে। সমাজের অসংগতি যেমন তুলে ধরা হয়, তেমনি আলোকিত মানুষদের কাহিনিও দর্শকের সামনে আসে।
তিনি বলেন, বর্তমান সমাজে ধর্ষণ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক। তিনি আশা করেন একটি দূষণমুক্ত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ইত্যাদির মাধ্যমে বহু স্কুল, নলকূপ এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করেছে।
হানিফর মতে, নৈতিকতা ও সততা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। তিনি মনে করেন তরুণদের সৎ ও নির্মোহ মনোভাব সমাজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে শিল্প-সাহিত্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তবে এটি নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্রও খুলছে।
শেষে হানিফ বলেন, “প্রত্যেক মানুষের মধ্যে অনন্যত্ব (‘ইউনিকনেস’) থাকতে হবে। নিজস্ব মেধা ও যোগ্যতায় নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারলেই সত্যিকারের উত্তরসূরি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।”
repoter



