ছবি: জাহিদ হোসেন, সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংক, ঢাকা কার্যালয়
কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল বৃদ্ধির জায়গায় আটকে আছে। বছরের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি ৩–৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত, যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। অর্থনীতির সূচকগুলো ততটা পরিবর্তিত হয়নি, তবে সামান্য স্থিতিশীলতা এসেছে।
অর্থনীতির অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনও ব্যবসার জন্য প্রভাব ফেলছে। নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্যোক্তারা আশাবাদী, তবে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা কাটছে, কিন্তু পুরোপুরি দূর হয়নি।
অর্থনৈতিক শ্লথতার আরও তিনটি প্রধান কারণ:
-
জ্বালানিসংকট – যা দীর্ঘদিনের সমস্যা, এবং বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে।
-
আর্থিক খাতের দুর্বলতা – উদ্যোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারছেন না। শুধু সুদের হার নয়, অর্থায়নের প্রাপ্যতা (Access to Finance) মূল প্রতিবন্ধকতা। ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে বিনিয়োগ অর্থ পাওয়া সীমিত।
-
মানুষের কেনার ক্ষমতা কমে যাওয়া – মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের বেশি, মজুরি কম। তাই বাজারে ক্রয়ক্ষমতা দুর্বল।
এছাড়া, গ্লোবাল অর্থনীতির অনিশ্চয়তা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে বিশ্ববাণিজ্য ধীর হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতারা সরবরাহ উৎস নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত, যা বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
repoter


