ছবি: অর্থ মন্ত্রণালয়
সরকার বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সংযুক্ত ও জব্দ করেছে। এর মধ্যে দেশের ভেতরে রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকার সম্পদ এবং বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকার সম্পদ। সংযুক্ত ও জব্দ হওয়া এসব সম্পদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর বিক্রি, হস্তান্তর বা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবেন না।
মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন যুগোপযোগী করে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৈঠকে অগ্রাধিকারভিত্তিক মামলাগুলোর দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল ও বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে চিহ্নিত ১১টি মামলার তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল্যায়নের প্রস্তুতি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২০২৭–২৮ মেয়াদে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মূল্যায়নকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
repoter


