ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ০৭:৫৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ * শুল্ক কমাতে হবে, নইলে ভারতের ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়বে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা * জনসমর্থন ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না: আমীর খসরু * মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস * জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা * যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি * শহীদ মিনারে ফরিদা পারভীনের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা * সরকার চায় ‘মব সংস্কৃতি’ টিকে থাকুক: রুমিন ফারহানা * যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমানোর চিন্তায় সরকার * চুনারুঘাট থানার ওসি পুলিশের দায়িত্ব থেকে ক্লোজড, বাসা তল্লাশির ভিডিও ভাইরাল হয়ে বিতর্ক

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১ ক্ষেত্রে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান

repoter

প্রকাশিত: ০৬:২০:১০অপরাহ্ন , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৬:২০:১০অপরাহ্ন , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করেছে। গবেষণা প্রস্তাব গ্রহণের শেষ সময় আগামীকাল রবিবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর ওয়েবসাইটে গিয়ে গবেষণা মেনু থেকে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট (পিসিএন) ফরম পূরণ ও জমা দিতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের অবশ্যই সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে, অন্যথায় আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। যারা এর আগে গবেষণার জন্য আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুন করে আবেদন জমা দিতে হবে।

এইবার মোট ১১টি গবেষণাক্ষেত্র নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, কৃষি, জীবন–সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি), মৎস্য, ব্যবসায় শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন ও জননীতি।

গবেষণা প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সীমিত নয়। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষক এবং গবেষকরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই গবেষণা প্রস্তাবের আওতায় আবেদন করার যোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গবেষণা সহায়তা পাওয়ার শর্ত হিসেবে প্রাথমিকভাবে একটি প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট দাখিল করতে হবে। এর ভিত্তিতেই গবেষণা প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রস্তাব মূল্যায়নে বেশ কিছু মানদণ্ড বিবেচনা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে গবেষণা অভিজ্ঞতা, গবেষণা কার্যক্রমের মান ও অবকাঠামো, দেশি ও বিদেশি স্বনামধন্য জার্নালে প্রকাশনার অভিজ্ঞতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনার রেকর্ড এবং পূর্ববর্তী গবেষণায় অর্জিত সাফল্য। এসব ক্ষেত্রে যেসব আবেদনকারী এগিয়ে থাকবেন, তাঁদের গবেষণা প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণায় মৌলিক ও প্রয়োগভিত্তিক দিকগুলোকে আরও শক্তিশালী করার দাবি উঠেছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার প্রসারেই নয়, বরং বাস্তব সমস্যার সমাধানেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া উন্নয়ন অধ্যয়ন, জননীতি, প্রকৌশল এবং তথ্যপ্রযুক্তির মতো সমসাময়িক খাতে গবেষণা আহ্বানকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। তাঁদের মতে, এসব ক্ষেত্রের গবেষণা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও নীতি-প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

আগামীকাল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রস্তাব জমা শেষ হলে তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। এর পরই উপযুক্ত গবেষকদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, গবেষণা প্রস্তাব আহ্বানের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জনের পথে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

repoter