ঢাকা,  শুক্রবার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ০৬:৫০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন জাতীয় ফুটবল দল * এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর শুরু ১৪ সেপ্টেম্বর, স্কোয়াডে মুশফিক ও রিয়াদ * যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গুলিতে চার্লি কার্ক নিহত, রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ * সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার * নেপালে কারাগারে সেনার গুলিতে দুই বন্দি নিহত, সহিংসতায় প্রাণহানি বাড়ছে * কারচুপির অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের * যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের সূচনা * ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার * চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় ডাকসুর শীর্ষ তিন পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের জয় * ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তন্বী, শীর্ষ তিন পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের দাপট

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার

repoter

প্রকাশিত: ০৭:৪৫:২৮অপরাহ্ন , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৭:৪৫:২৮অপরাহ্ন , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং তা পরবর্তী দুই মাস বলবৎ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে কর্মরত ক্যাপ্টেন এবং তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে কর্মরত সেনা কর্মকর্তারাও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর মোট ১৭টি ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারার মধ্যে মূলত অপরাধ দমন, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং পলাতক আসামিসহ অন্যান্য অপরাধীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকার মনে করছে, নিরাপত্তা জোরদার ও অপরাধ দমন কার্যক্রমে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এর আগে গত ১৪ জুলাই একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছিল, যার মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সেই মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হলো। সরকার জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমনে সেনা কর্মকর্তাদের এ ধরনের ক্ষমতা অস্থায়ীভাবে দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মূলত বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও আইনের শৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত। সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও আইনানুগ প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিদ্ধান্তটি নিয়ে জনমনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলে অপরাধ দমন কার্যক্রম দ্রুততর হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। আবার সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের ক্ষমতা সেনা কর্মকর্তাদের দেওয়ায় সাধারণ নাগরিক স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তারা মনে করছেন, প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত ভূমিকা দীর্ঘমেয়াদে জটিলতা তৈরি করতে পারে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনা কর্মকর্তাদের এই অস্থায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা মূলত বিশেষ পরিস্থিতির জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। অতীতে বিভিন্ন সময় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই ক্ষমতার প্রয়োগ যেন কেবলমাত্র অপরাধ দমন ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সেনা কর্মকর্তাদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তা করবে বলে প্রশাসনের দাবি। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও ব্যবহার নিয়ে এখনো জনমনে সংশয় রয়ে গেছে। 

repoter