ঢাকা,  রবিবার
১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ০৪:৪৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল * ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে * ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উপস্থিতি * মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই: এটিইউ প্রধান * হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ * চাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও ব্যালট নম্বর প্রকাশ * মানুষের আস্থা অর্জনই বিচার বিভাগের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি * শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি * বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বৈঠক * ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮ জন

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত নয়: মির্জা ফখরুল

repoter

প্রকাশিত: ০৭:০৮:১৬অপরাহ্ন , ১৯ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ০৭:০৮:১৬অপরাহ্ন , ১৯ আগস্ট ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিকে জনগণের অধিকার নিশ্চিতে অকার্যকর আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর মতে, এই পদ্ধতিতে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বার্থ পূরণ হবে না এবং জনগণের প্রত্যাশিত অধিকারও নিশ্চিত হবে না।

মঙ্গলবার চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর বিএনপি মহাসচিবকে স্বাগত জানাতে দলের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটি জনগণের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র কার্যকর উপায় হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।

তিনি আরও বলেন, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে যে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেটি পিআর পদ্ধতিতে কখনোই প্রতিফলিত হবে না। বরং এটি জনগণের প্রত্যাশা থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। তাঁর ভাষায়, "রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য জনগণের হাতে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।"

মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় পিআর পদ্ধতি অন্যতম বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে যে দলটি এ প্রক্রিয়ার প্রতি ইতিবাচক নয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন ছাড়া রাজনৈতিক সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। দলটির নেতাদের মতে, জনগণের অধিকার কেবল তখনই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে, যখন তাদের ভোট সঠিকভাবে গণনায় প্রতিফলিত হবে এবং সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তি থাকবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মূলত বিএনপির অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে। তাঁদের ধারণা, বিএনপি এখনো বিশ্বাস করে যে গণতন্ত্র রক্ষার একমাত্র উপায় হলো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, প্রস্তাবিত পিআর পদ্ধতিকে তারা বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি নয়।

বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিবকে স্বাগত জানাতে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাংবাদিকদের বলেন, দেশে বর্তমানে যে অচলাবস্থা চলছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো একটি সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন আয়োজন করা।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক শুরু হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন মহল যেখানে পিআর পদ্ধতিকে গণতন্ত্রের প্রসারে একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচনা করছে, সেখানে বিরোধী দল বিএনপি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ আলোচনায় এ বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেতে পারে।

বিএনপির মহাসচিবের মতে, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করতে চায়। আর সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া, যা দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধানেও সহায়ক হবে।

repoter