ঢাকা,  শুক্রবার
৩ অক্টোবর ২০২৫ , ০৩:৩০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল * ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে * ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উপস্থিতি * মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই: এটিইউ প্রধান * হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ * চাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও ব্যালট নম্বর প্রকাশ * মানুষের আস্থা অর্জনই বিচার বিভাগের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি * শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি * বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বৈঠক * ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮ জন

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ

repoter

প্রকাশিত: ০৬:০৫:১২অপরাহ্ন , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৬:০৫:১২অপরাহ্ন , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসবেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা সূত্র জানায়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনীরও আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। তার উপস্থিতি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং বৈঠক শেষে আবার নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।

বৈঠকের নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে গাজা ইস্যু নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ধারাবাহিকতা। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ছাড়াও তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক রাজনীতি গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নানা কারণে জটিল হয়ে উঠেছে। ভিসা ইস্যু, ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ এবং মে মাসে ট্রাম্পের দাবি করা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে গত ৩১ জুলাই একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে মার্কিন পক্ষ থেকে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে এখনও কোনও বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় পাকিস্তানের গুরুত্ব আবারও বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমন্ত্রণে এককভাবে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে অংশ নেন। সেটি ছিল প্রথমবারের মতো কোনও পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক, যেখানে কোনও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। সেই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেহবাজ শরিফের আসন্ন বৈঠক পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের আরেকটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে। ইসলামাবাদের প্রতি ওয়াশিংটনের আগ্রহকে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন এক কৌশলগত হিসাবের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। গাজা সংকট, বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

repoter