ঢাকা,  রবিবার
১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ০৪:৫৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল * ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে * ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উপস্থিতি * মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই: এটিইউ প্রধান * হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ * চাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও ব্যালট নম্বর প্রকাশ * মানুষের আস্থা অর্জনই বিচার বিভাগের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি * শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি * বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বৈঠক * ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮ জন

হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলেই তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৪৯:২৬অপরাহ্ন , ২২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ০৬:৪৯:২৬অপরাহ্ন , ২২ আগস্ট ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এমন উসকানিমূলক প্রচার চালানো হলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, অনলাইন ও সংবাদপত্রসহ যেকোনো গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। কারণ, তিনি ইতোমধ্যেই ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা উপেক্ষা করে কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য প্রচার করে। সেখানে তিনি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ করেছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা গণআন্দোলনের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। আদালত ইতোমধ্যে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং একই সঙ্গে তাদের নেতাদের যেকোনো বক্তব্য বা প্রচারও আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রচার অব্যাহত থাকলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম ও ব্যক্তিরা কঠোর আইনি জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, জাতির ইতিহাসের এই সংবেদনশীল সময়ে বিভ্রান্তিকর বা সহিংসতামূলক বক্তব্য প্রচার দেশের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তৈরি, যার লক্ষ্য হলো অস্থিরতা সৃষ্টি এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা। তাই গণমাধ্যমগুলোকে দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে এসব বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

সরকারি সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য বা তার যেকোনো উসকানিমূলক বার্তা সম্প্রচার করলে তা সরাসরি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকারী গণমাধ্যম বা ব্যক্তি কঠোর শাস্তির আওতায় পড়বেন।

অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের স্বার্থে সংবাদ মাধ্যমকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশের ভবিষ্যৎ এবং গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। 

repoter