
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
নতুন সংবিধান ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য নেতৃবৃন্দের
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। যারা সেই অভ্যুত্থান সফল করেছিল, তারা এখনো রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। আমরা দখলদারিত্ব চাই না, এবং পূর্বের সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরে আসতে দেব না।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, দিনাজপুরের কৃষকের উৎপাদিত খাদ্য যেন দিনাজপুরবাসীর কল্যাণে ব্যবহৃত হয়, সেটাই হওয়া উচিত। “আমরা মিথ্যা আশ্বাস দিতে চাই না। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা ও টালবাহানা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে এই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংযুক্ত থাকতে হবে,” বলেন তিনি।
এই পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটেয়ারী।
সভায় বক্তারা জানান, বর্তমান সংবিধান জনগণের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সেই সংবিধান হবে জনগণের চাহিদার প্রতিফলন, যেখানে থাকবে বিচার সংস্কার, শাসনব্যবস্থার রূপান্তর এবং কার্যকর জবাবদিহিতা।
এনসিপি নেতৃবৃন্দ জানান, ‘দেশ গড়তে জুলাই যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা উত্তরাঞ্চলে সফর করছেন। এই সফরের চতুর্থ দিনে তারা দিনাজপুরে এসে উপস্থিত হন। সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা দিনাজপুর শহরের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের কথা শোনেন।
এর আগে, জুমার নামাজ আদায়ের পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঠাকুরগাঁও থেকে রওনা হয়ে পীরগঞ্জ, বীরগঞ্জ ও দশমাইল হয়ে দিনাজপুরে প্রবেশ করেন। বিকেল পৌনে ৫টায় তারা শহরের বালুবাড়ী এলাকার বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে এসে পৌঁছান। এরপর একটি বিশাল মিছিল নিয়ে তারা বড়মাঠ, বাহাদুর বাজার ও লিলিমোড় হয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে উপস্থিত হন। ইনস্টিটিউট মাঠেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বগুড়ার উদ্দেশ্যে দিনাজপুর ত্যাগ করেন। নেতারা জানান, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা এবং দেশ পুনর্গঠনের জন্য একটি সুসংহত পরিকল্পনার ভিত্তি তৈরি করা। জনগণের কাছে তাঁরা আহ্বান জানান, বর্তমান অচলাবস্থার অবসানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নতুন ব্যবস্থার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে।
repoter