
ছবি: -সংগৃহীত ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি আর ব্যানার-পোস্টারে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ক্যাম্পাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর শিক্ষার্থীদের এই নির্বাচনী উৎসব ঘিরে তৈরি হয়েছে উৎসাহ ও উত্তেজনা।
আজ মঙ্গলবার সকালেই নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোটের দিকনির্দেশনা প্রদান করে। কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা।
চূড়ান্তভাবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৭১ জন প্রার্থী। শুরুতে মোট ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ২৮ জন প্রার্থী পরবর্তীতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। আর ১০ জন আপিল করেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেননি। ফলে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭১ জনে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে লড়ছেন ৪৫ জন প্রার্থী। জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯ জন। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন ২৫ জন প্রার্থী। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৭ জন, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন প্রার্থী।
এর আগে গত ১২ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত চলেছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর আপিল প্রক্রিয়া এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ শেষ হলে আজ প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত তালিকা।
প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বাড়তে শুরু করেছে। ভোটারদের কাছে নিজেদের পক্ষে সমর্থন আদায়ে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। বিভিন্ন হলে, ক্যাফেটেরিয়া, ডিপার্টমেন্ট এবং টিএসসি এলাকায় পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ ও সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
ক্যাম্পাসজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এমন উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন। অনেকের প্রত্যাশা, এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারগুলো নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে প্রশাসনও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন সবসময়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে এবারের ভোটেও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও আগ্রহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্যও একটি বড় ইঙ্গিত বহন করবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
repoter