ঢাকা,  শুক্রবার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ০৭:০১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন জাতীয় ফুটবল দল * এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর শুরু ১৪ সেপ্টেম্বর, স্কোয়াডে মুশফিক ও রিয়াদ * যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গুলিতে চার্লি কার্ক নিহত, রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ * সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার * নেপালে কারাগারে সেনার গুলিতে দুই বন্দি নিহত, সহিংসতায় প্রাণহানি বাড়ছে * কারচুপির অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের * যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের সূচনা * ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার * চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় ডাকসুর শীর্ষ তিন পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের জয় * ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তন্বী, শীর্ষ তিন পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের দাপট

ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তন্বী, শীর্ষ তিন পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের দাপট

repoter

প্রকাশিত: ০৭:০৬:০৭অপরাহ্ন , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৭:০৬:০৭অপরাহ্ন , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৭৭৭টি ভোট, যা তাকে বিপুল ব্যবধানে বিজয় এনে দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে। এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ডাকসুর শীর্ষ তিন পদ—সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—অধিকাংশ ভোটে নিজেদের দখলে নিয়েছে শিবির-সমর্থিত প্যানেল।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তিনি একাই পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান, যিনি পান মাত্র ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এই ফলাফল ভিপি পদে বিশাল ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেছে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীর জন্য।

জিএস পদেও একই চিত্র। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন শিবির-সমর্থিত এস এম ফরহাদ, যিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। ব্যবধানটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, জিএস পদেও প্রভাব বিস্তার করেছে শিবিরের প্রার্থী।

এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কমবেশি প্রাণবন্ত, তবে শেষ পর্যন্ত জয় গেছে আবারও শিবির-সমর্থিত প্রার্থীর হাতে। মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।

এই নির্বাচনের ফলাফলে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রথমত, শীর্ষ তিন পদে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে শিবির-সমর্থিত প্যানেল। দ্বিতীয়ত, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে সানজিদা আহমেদ তন্বী প্রমাণ করেছেন যে সংগঠিত প্যানেলের বাইরেও বিপুল জনসমর্থন অর্জন সম্ভব। সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে তিনি ডাকসু নির্বাচনে ভিন্নধর্মী আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

তন্বীর এই জয়কে অনেকে দেখছেন বিকল্প কণ্ঠস্বরের উত্থান হিসেবে। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রেক্ষাপটে এমন একটি সাফল্য ছাত্ররাজনীতির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। অপরদিকে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের ধারাবাহিক সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে তাদের পুনরুত্থান এবং শক্ত অবস্থানের দিকটি সামনে এনেছে।

ডাকসু নির্বাচন সবসময়ই ছাত্ররাজনীতির বড় পরীক্ষাগার হিসেবে বিবেচিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন স্বতন্ত্র ও বিকল্প ধারার প্রার্থীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে, অন্যদিকে পুরোনো শক্তিগুলোর পুনর্গঠন এবং ভোটব্যাংকের উপর দখলদারিত্বের চিত্রও ফুটে উঠেছে।

এই ফলাফল পরবর্তী সময়ের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী তন্বীর মতো মুখগুলো ভবিষ্যতে কতটা অগ্রসর হতে পারেন, তা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আর শিবির-সমর্থিত প্যানেলের শীর্ষ পদগুলোতে জয় তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নতুনভাবে সক্রিয় করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

repoter