ছবি: মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক ও জোনায়েদ সাকি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দলটি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে শরিক দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং ধাপে ধাপে আসন সমঝোতার ঘোষণা আসবে।
তিনি জানান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
জমিয়তের জন্য ছেড়ে দেওয়া চারটি আসন ও প্রার্থীরা হলো—
-
সিলেট–৫: মাওলানা মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ফারুক
-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব
-
নীলফামারী–১: মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী
-
নারায়ণগঞ্জ–৪: মুফতি মনির হোসেন কাসেমী
জমিয়তের প্রার্থীরা খেজুরগাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—
-
যে আসন শরিকদের দেওয়া হবে, সেখানে বিএনপি প্রার্থী দেবে না
-
শরিক দলগুলো শুধু নির্ধারিত আসনেই প্রার্থী দেবে, অন্য কোথাও নয়
দলীয় সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে বিএনপি ২৭২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসন শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে প্রায় ১০টি আসন নিয়ে আলোচনা শেষ পর্যায়ে।
এ ছাড়া নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, এলডিপি ও কয়েকটি ছোট দলের জন্য এক বা একাধিক আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। কিছু দলের নেতা ইতিমধ্যে নিজ নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বা যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিতে আছেন।
তবে যুগপৎ আন্দোলনের আরেক শরিক গণ অধিকার পরিষদ আসন সমঝোতায় অগ্রগতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিজস্ব প্রতীকে সব আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
repoter


