
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা, বাংলাদেশ – গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ হাসানের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জানাজার পর ছাত্র-জনতা একটি কফিন মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর’, ‘আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন।
শহীদ হাসানের বাবা জানান, ৫ আগস্ট তার ছেলে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। পরদিন থেকে হাসপাতাল, মর্গ ও কবরস্থানে খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে, ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে ছয় মাস পর ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার ছেলের লাশ শনাক্ত হয়। তিনি দাবি করেন, যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদ কায়েম রাখতে গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ সাজা দিতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কবর রচনা করবে এবং যারা তাদের সহায়তা করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি সরকার এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করে, তাহলে ছাত্র-জনতা নিজেরাই বিপ্লব সম্পন্ন করবে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর ব্যাপক গুলি চালায় পুলিশ ও বিজিবি। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন হাসান। ছয় মাস পর তার লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাওয়া যায় এবং ফরেনসিক টেস্ট শেষে গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
repoter