ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ভোলায় বিরাজ করছে বৈরি আবহাওয়া। এর প্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে, উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। এ অবস্থায় যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার অভ্যন্তরীণ ১০টি নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, মনপুরা-ঢাকা, হাতিয়া-ঢাকা, চরফ্যাশন-ঢাকাসহ মোট ১০টি অভ্যন্তরীণ রুটে। পাশাপাশি, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা। অনেকেই ছুটিতে বাড়ি এসে কর্মস্থলে ফেরার জন্য ঘাটে পৌঁছেছেন, কিন্তু লঞ্চঘাটে এসে জানতে পারেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে কেউ কেউ ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন, আবার কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে উপস্থিত কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামমুখী যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা এখন কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না, ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কেউ কেউ সকাল থেকে ঘাটে অবস্থান করেও লঞ্চ চালুর কোনো আশার কথা না শুনে অবশেষে ফিরে যান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই সতর্কতার প্রেক্ষিতে নদী এখন খুবই উত্তাল। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব লঞ্চ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ এবং ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুনরায় চলাচল শুরু করা হবে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় নদীপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন পণ্য পরিবহনেও বিঘ্ন ঘটছে। গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও খাদ্যপণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো ঘাট এলাকায় আটকে আছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চালকদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
প্রশাসন ও নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং আবহাওয়ার অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
repoter




