ঢাকা,  রবিবার
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৯:২৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির সভা

repoter

প্রকাশিত: ০২:১৪:২৯অপরাহ্ন , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০২:১৪:২৯অপরাহ্ন , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়–ব্রিফিং। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে

ছবি: গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়–ব্রিফিং। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে

গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় ও ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু করার পথে প্রশাসন ও পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও আশঙ্কা উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, গুজব ছড়ানো, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ঢালাও জামিন এবং সীমান্তে নিরাপত্তার দুর্বলতা।

কর্মকর্তারা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নানা পরামর্শ দেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। চার নির্বাচন কমিশনারও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এই মতবিনিময়/ব্রিফিংয়ে মোট ২২৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এর মধ্যে ৮ জন বিভাগীয় কমিশনার, ৮ জন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ১০ জন ইসির আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং ৬৪ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা রয়েছেন।

কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, নির্বাচন ব্যাহত হলে নানা ধরনের অপকর্ম হতে পারে। তবে সকলেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছেন।

তফসিল ঘোষণার পর ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি-কে গুলি করা হয়, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।

অবৈধ অস্ত্র ও নিরাপত্তা
গত বছরের আগস্টে ৫,৭৫৩টি অস্ত্র লুট হয়; এর মধ্যে প্রায় ৪,৫০০ উদ্ধার হয়েছে। এখনো ১,০০০টির বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। নির্বাচনের সময় এসব অবৈধ অস্ত্র বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কর্মকর্তারা সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিন বন্ধ রাখা, কারাবন্দী ব্যক্তিদের অবাধ মুঠোফোন ব্যবহার রোধ, নতুন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো, ভোটকেন্দ্র সংস্কার, অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মতো পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উদ্বেগ
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, অপরাধীদের জামিন নির্বাচনের আগে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপপ্রচার রোধ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, নির্বাচন আগে পুলিশ যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে, তবে ছোটখাটো অস্থিরতা ও রোড ব্লক প্রতিরোধ করতে হবে।

সিইসির নির্দেশনা
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। তিনি সংখ্যালঘু ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে বলেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

repoter