
ছবি: -সংগৃহীত ছবি
এশিয়া কাপে টিকে থাকার সংগ্রামে আজ মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জয় পেয়ে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান।
সুপার ফোর পর্বে আগের ম্যাচগুলোতে পরাজয়ের কারণে পয়েন্ট তালিকার নিচে অবস্থান করছে দুই দলই। ফলে এই ম্যাচে জয় পাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, আজকের লড়াই মূলত দুই দলের জন্যই ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচ।
২০২২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালের পর এবারই প্রথম আবারো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একে অপরের মুখোমুখি হলো শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লঙ্কানরা। তাই এবারের ম্যাচে পাকিস্তান দল প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তান একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, অধিনায়ক সালমান আগা, ফাহিম আশরাফ, উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিস, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং আবরার আহমেদ। দলটির ব্যাটিং লাইনআপে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের মিশ্রণ থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব তাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা একাদশে আছেন ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা, উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা, দাসুন শানাকা, কামিন্দু মেন্ডিস, অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, স্পিনার মহীশ তিকশানা, পেসার দুষ্মন্ত চামিরা এবং নুয়ান তুষারা। দলটি সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরি সমস্যায় ভুগলেও তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করছেন সমর্থকরা।
ম্যাচের ভেন্যু শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামকে দুই দলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। মরুভূমির আবহাওয়া এবং পিচের চরিত্র ব্যাটার ও বোলার উভয়ের জন্যই ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ, বিশেষ করে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের গতি, শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অন্যদিকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মহীশ তিকশানার স্পিন আক্রমণ পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, দুই দলই আজ সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেবে এবং ম্যাচটি হবে উত্তেজনাপূর্ণ। জয়ী দল সুপার ফোরে নিজেদের টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখবে, আর পরাজিত দল কার্যত বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তাই ম্যাচটির প্রতিটি মুহূর্তই দুই দলের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
repoter