ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঘাঁটি বাশারে নির্মিত সিমুলেটর এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণে নতুন দিগন্তের সূচনা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে অবস্থিত স্কুল অব এয়ার ট্রাফিক সার্ভিসেস-এ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) টাওয়ার ডিজিটাল সিমুলেটর” বুধবার, ১৬ জুলাই, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি সিমুলেটরটির উদ্বোধন ঘোষণার পাশাপাশি এর কার্যকারিতা এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে সরাসরি লাইভ ডেমোনস্ট্রেশনও পর্যবেক্ষণ করেন।
বিমান বাহিনীর নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই ডিজিটাল সিমুলেটরটি তৈরি করা হয়েছে। এটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং টাওয়ার অ্যাসিস্ট্যান্টদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বাহিনীর প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরশীলতাকেও এগিয়ে নেবে। বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, এই উদ্যোগ দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং বহির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য, এয়ার অধিনায়ক বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠান চলাকালে প্রধান অতিথি বলেন, বিমান বাহিনীর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং এটি প্রমাণ করে যে দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের প্রযুক্তি উন্নয়ন ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
স্কুল অব এয়ার ট্রাফিক সার্ভিসেস-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই সিমুলেটর ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বাস্তব পরিবেশের মতোই পরিস্থিতি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এতে করে প্রশিক্ষণের মান যেমন উন্নত হবে, তেমনি অপারেশনাল কার্যক্রমও আরও সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সিমুলেটরটির বিভিন্ন ফিচার এবং কার্যপ্রণালী উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়। অতিথিরা সিমুলেটরের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার প্রশংসা করেন। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এবং সিমুলেটর তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশীয় প্রযুক্তির এই অর্জনকে দেশের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আগামী দিনে আরও প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
repoter




