ছবি: সংগৃহীত ছবি
♦ সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি ♦ জনস্বার্থে ব্যাপক কর্মসূচি ও প্রচারে নেমেছে দলটি ♦ প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় কর্মী-প্রার্থী সক্রিয়
বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনই চায় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমতার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া এবং একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই দলটির প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে হাইকমান্ড, যার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।
বিএনপি জানাচ্ছে, প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় তিন-চার জন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা মাঠে জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া হাইকমান্ড থেকে সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য সহস্রাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জনগণের কল্যাণে কর্মসূচি, ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশে নেতা-কর্মীদের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। সারা দেশে বিএনপির ইউনিটগুলো পুনর্গঠন এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করছে। দলের তরুণ নেতা-কর্মী এবং পূর্বের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অভিজ্ঞ নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মূল অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির লক্ষ্য হলো নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা, যেখানে বিএনপির সঙ্গে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী শক্তিশালী সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং তরুণ নেতারা জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করছেন।
সাংগঠনিক কার্যক্রমে ধারাবাহিক প্রস্তুতি
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথ কর্মিসভা পরিচালনা করছে এবং কৃষক দল সারা দেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণসংযোগ কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটকে ঢেলে সাজিয়ে দলকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি) সোহেল বলেন, "আমরা এলাকায় জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি পরিচালনা করছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের এ প্রস্তুতিই নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে।" মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, "আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।"
জাতীয় সরকারের ভাবনায় বিএনপি
বিএনপি নেতাদের মতে, জনসমর্থন আদায়ে বিএনপির এই প্রস্তুতি এবং কর্মসূচির ধারাবাহিকতা জনগণের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, "দল ত্যাগী নেতাদের এবং যারা রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তাদের প্রাধান্য দিচ্ছে। নির্বাচনের জন্য আত্মত্যাগ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আসবে।"
দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পর দলটি এবারের নির্বাচনে অত্যন্ত মনোযোগী। তারা জনগণের কাছে ক্ষমতার মালিকানা ফিরিয়ে দিতে এবং তাদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
repoter