
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী নানা ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বনানী কবরস্থানে মরহুম কোকোর কবরের পাশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোরআন তেলাওয়াত, মোনাজাত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এই কর্মসূচিতে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। কর্মসূচিতে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী, মীর সরফত আলী সপু, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজিব আহসানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এই মাহফিলে যোগ দেন। এছাড়াও বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যেমন ড. আব্দুল মঈন খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, আতিকুর রহমান রুমন, এবং অন্যান্য নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া, বাদ জুমা ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ডের মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পল্লবী থানা বিএনপির আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় এবং থানা যুবদলের আয়োজনে দুস্থ-এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
repoter