
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনে ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর আগে হামাস তাদের হাতে আটক তিনজন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেয়। বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শুরু হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুক্তি পাওয়া তিন ইসরায়েলি জিম্মি হলেন রোমি গনেন, ডোরন স্টেইন ব্রেচার এবং এমিলি দামারি। রেড ক্রসের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা সবাই নারী ও শিশু। মুক্তিপ্রাপ্তদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খান ইউনিস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একজন ইসরায়েলি নাগরিকের মুক্তির বিনিময়ে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নীতি অনুসরণ করা হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দিকে সম্প্রতি আটক করা হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো দণ্ড বা সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে জানানো হয়েছে। বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই চুক্তির আওতায় গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন এবং ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা সম্পূর্ণ হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। এছাড়া, হামাসের কাছে থাকা মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াও এই চুক্তির অংশ।
repoter