ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রাইসা মনির দগ্ধ মরদেহ ঢাকার সামরিক হাসপাতালে শনাক্ত, পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি|
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে সোমবার বিকেলে ঘটে যাওয়া বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিখোঁজ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা মনি (১১) এর মরদেহ মঙ্গলবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ শনাক্ত করা হয়েছে। রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ এবং চাচা ইমদাদুল শেখ তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
রাইসা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা শাহাবুল শেখ একজন ব্যবসায়ী। পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করে। রাইসা ছিলেন তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান, তার বড় একটি বোন ও ছোট একটি ভাই রয়েছে।
রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ জানায়, রাইসার খোঁজ মিললেও সে বেঁচে নেই। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, পেট থেকে মাথা পর্যন্ত দগ্ধ ছিল। যদিও তার বাবা মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন। বর্তমানে রাইসার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ হতাহত হন। বাংলাদেশ সামরিক তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৫ জন। তাছাড়া এখনও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিধ্বস্ত বিমান ও ঘটনাস্থলের পাশাপাশির অধ্যুষিত এলাকায় এই দুর্ঘটনার পর গভীর শোক ও উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজন সহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই দুঃখজনক ঘটনায় মর্মাহত। আইএসপিআর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে আহতদের চিকিৎসা ও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনা দেশের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, বিমান নিরাপত্তা ও জরুরি ব্যবস্থাপনার ওপরও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সরকারী পর্যায়ে এই ঘটনার তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
repoter




