ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা, সোমবার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি হবে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, "বিএনপি আর স্বপ্ন কিংবা কেবল প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করতে চায় না, বরং এখন সময় এসেছে প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়নের।"
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের আয়োজনে রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তারেক রহমান স্পষ্টভাবে জানান, বিএনপি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, “পরিষ্কারভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বুঝি, এবং এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারাও নিশ্চয়ই অনুভব করছেন—বাংলাদেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের এই আকাঙ্ক্ষা কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নৈতিক উন্নয়নের প্রতিও ইঙ্গিত দেয়।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “জনগণ আর শুধু কথা শুনতে চায় না। তারা কাজ দেখতে চায়, বাস্তবতা দেখতে চায়। সেই জায়গা থেকেই আমরা আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশনা পুনর্নির্ধারণ করছি।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ভেতরে এবং বাইরে থাকা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজাচ্ছি। সেখানে প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে দেশ ও বিদেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান তৈরি এবং শ্রমজীবী মানুষদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। এতে দেশের তরুণ সমাজ যেমন উপকৃত হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিও একটি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবে।”
তারেক রহমানের ভাষায়, “জীবনমান উন্নয়নের এই রাজনীতি কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা, তাদের কর্মজীবনের নিরাপত্তা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি মনে করে রাজনীতির সার্থকতা তখনই আসে যখন তা জনগণের জীবন ও ভবিষ্যতের সঙ্গে মিশে যায়। “আমরা সেই রাজনীতির পক্ষেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যা বাস্তবিক পরিবর্তন ঘটায়, যা স্বপ্ন নয় বরং অর্জনের পথ তৈরি করে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন এবং বিএনপির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
তারেক রহমানের ভাষণে ফুটে ওঠে একটি সুস্পষ্ট বার্তা—আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে প্রতিটি মানুষের সম্মানজনক জীবনের অধিকার থাকবে, কর্মসংস্থান থাকবে, এবং কোনো মানুষ বঞ্চনার শিকার হবে না।
বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা যে শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকেন্দ্রিক, সেটি তারেক রহমানের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে।
এই বক্তব্য নতুন করে বিএনপির রাজনৈতিক রূপরেখাকে তুলে ধরেছে—যেখানে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জনগণ, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা।
repoter

