ছবি: -সংগৃহীত ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দলের সিনিয়র নেতা তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং তার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। তিনি রবিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে জাতীয়তাবাদী আয়কর আইনজীবী ফোরামের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান।
সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আশা করছে সংসদীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে যা দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। দেশের সব স্তরের মানুষ এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন এবং সারাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের এক সপ্তাহ আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি সতর্ক করেন, এই সময়ে যারা কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করছে বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, “দেশ এখন নির্বাচনী আবহে আছে, সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা পরিকল্পনা দেশে স্থিতিশীলতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সালাহউদ্দিন বলেন, “তিনি দেশে ফিরলেই নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতির অর্ধেক কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আমি বলছি না যে তখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে প্রচারণার মূল কাজ তখনই হাফলাইনে পৌঁছে যাবে। সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণার মূল অংশ তখন সম্পন্ন হবে এবং দলের কার্যক্রমে নতুন উদ্যম ও গতিশীলতা আসবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের রাজনীতিতে ইতিহাসে এমন একটি মুহূর্ত হবে যা অবিস্মরণীয়। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি বিএনপির সংগঠন ও জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। সালাহউদ্দিন বলেন, “এটি হবে ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা দলের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উৎসাহ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দলের কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রচারণা প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করতে হবে, যাতে নির্বাচন সুন্দরভাবে ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ এখন রাজনৈতিক সমালোচনা ও দলের কার্যক্রম উভয়ই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, নির্বাচনের সময়ে প্রচারণার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, “নির্বাচনের মূল কাজ হচ্ছে জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি করা। তাই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন শুধু একটি প্রতীকী ঘটনা নয়, এটি নির্বাচনী প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।”
তিনি নিশ্চিত করেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছে। তিনি বলেন, দলীয় নেতা ও কর্মীরা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন, তবে তারেক রহমানের উপস্থিতি দলের প্রচারণাকে নতুন গতিশীলতা দেবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ এও বলেন, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিএনপির একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও কার্যকর নির্বাচনী পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
বক্তব্যে তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন সবার জন্য সমান সুযোগের হয় এবং দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংগঠন ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সচেতনতা ও ভোটের গুরুত্ব প্রতিটি নাগরিকের জন্য অপরিসীম। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন দলের প্রচারণা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “দেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তটি একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে লেখা হবে। আমাদের লক্ষ্য হল একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং ফলপ্রসূ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা দেশের জনগণের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
repoter

